চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে শিক্ষক। এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফরাজি কান্দি ইউনিয়নের চরকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার ১৭ জুলাই সকালে চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে চরকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কবির হোসেন একজন ছাত্রীকে ডাক দেয়। ছাত্রীটি কাছে গেলে তাকে জোর করে স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় কিছু লোকজন টের পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং শিক্ষক কবির হোসেনকে বিদ্যালয় কক্ষে আটকে রাখে। পরে মিমাংসার কথা বলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে ঐ শিক্ষক লাপাত্তা, মোবাইল ফোনও বন্ধ করে রেখেছে।
এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে।
আহাম্মেদ রাজু লামে একজন তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেছেন, কবির মাস্টার এর আগে ছোট চরকালিয়া স্কুলে থাকা অবস্থায়ও এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে। তার সঠিক বিচার না হওয়ায় আজ আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
তীব্র সমালোচনা করে সুষ্ঠু বিচারের দাবী করেন ফেইসবুক আইডি ব্যবহারকারী মো.সবুজ হোসেন, পারভেজ খান, মাসুম চৌধুরী, ফাহিম চৌধুরী, রবিউল ইসলাম মুকিট, হারুন অর রশিদ, আরিফ কবির, মো. সাগর হোসেন, মো. শাহ জামাল, সরকার রিপন, মো. বাবুল, মো. লুৎফর রহমান, হাসিব হাসান, মো. সাব্বির রহমান, সাদ্দাম হোসেন, সিহাব উদ্দিন আহমেদ, আহাম্মেদ রাজুসহ অসংখ্য লোকজন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কবির হোসেন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধু পাওয়া যায়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন কোন অভিযোগ পাইনি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য বুধবার পবিত্র আশুরার বন্ধ থাকায় অন্য কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো না।