সভায় দলগুলোর নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। এছাড়াও কেউ যেন দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সেজন্য সাংবিধানিক সংস্কারের কথাও বলেন। সেইসঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের দাবির পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন বিতর্কিত আইন সংশোধনের বিষয়েও পরামর্শ দেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাতটি ইসলামী দলের শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময় সভা শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সভা শুরু হয়।
দলগুলো হলো বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামী ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টার দৈনন্দিন সূচি অনুযায়ী, আজ রাত ৮টা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় করবেন।
সভায় দলগুলোর নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। এছাড়াও কেউ যেন দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে, সেজন্য সাংবিধানিক সংস্কারের কথাও বলেন তারা।
দলগুলোর নেতারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের দাবির পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন বিতর্কিত আইন সংশোধনেরও পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখব। তাদের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব যা আসবে, সেগুলো গ্রহণ করব।'
মতবিনিময় সভায় খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। আর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন মাওলানা ইউসুফ আশরাফ।
আজ অন্য যেসব দলের সঙ্গে মতবিনিময় হবে সেগুলো হলো ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয়বাদী সমমনা জোট, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোট, শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ।